ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে মৃত্যু, যুবক গ্রেপ্তার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইভটিজিং করায় অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন মাদ্রাসাছাত্রী মাইমুনা আক্তার (১৫)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী ওমর রাহিমকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত মাইমুনা আক্তার চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুরের জমিদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ঘটনার পর থেকে ওমর পলাতক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামি ওমর রাহিমকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ওমর রাহিম লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর রাহিম বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনাটি স্থানীয়দের জানালে ওমর রাহিম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যান। এরমধ্যে তিনি ঘরে গলায় ফাঁস নেন।
র্যাব আরও জানায়, ওমরের কুৎসা রটানোর ঘটনা সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেন। এর আগে তার মৃত্যুর জন্য ওমরকে দায়ী করে বিচার চেয়ে চিরকুট লেখে গেছেন মাইমুনা। পরে পুলিশ ওই চিরকুটটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মাইমুনার মা বাদী হয়ে পরেরদিন কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১৮ দিন পর ওমর রাহিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।