আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে ঘনিয়ে আসছে সাধারণ নির্বাচন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে দেশটির তত্ত্বাবধায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বলেছেন কারাবন্দী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে কারাগারে তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত সপ্তাহে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষণা করেছে যে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন হবে। শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাত্কারে কাকার বলেছেন, ‘(ইমরান) খান বা তার দলের কয়েকশ সদস্যকে ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। তারা কারাগারে বন্দী কারণ তারা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিল।’
১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড নিষ্পত্তির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে ৯ মে গ্রেপ্তারের পর দাঙ্গা প্রায় সারা দেশে শুরু হয়েছিল। সহিংসতা এবং সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার জন্য শত শত পিটিআই কর্মী এবং সিনিয়র নেতাদের কারাগারে রাখা হয়েছিল।
বিক্ষোভ চলাকালীন, দুর্বৃত্তরা রাওয়ালপিন্ডিতে জিন্নাহ হাউস এবং জেনারেল হেডকোয়ার্টারসহ (জিএইচকিউ) বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সামরিক বাহিনী ৯ মে তারিখকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে সেনা আইনের অধীনে বিক্ষোভকারীদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এক প্রশ্নের জবাবে কাকার বলেন, পিটিআই কর্মী যারা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন, তারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিল। হাজার হাজার পিটিআই কর্মী যারা বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
পিটিআই যাতে ক্ষমতায় ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী আসন্ন নির্বাচনে কারসাজি করতে যাচ্ছে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিনা জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী উত্তর দেন, ‘আমি মনে করি এটি একেবারেই অযৌক্তিক। ইসিপি নির্বাচন পরিচালনা করতে যাচ্ছে, সামরিক বাহিনী নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও সমর্থন করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারও রয়েছে।
কাকার আরও বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে ইমরান খানই নিযুক্ত করেছিলেন। তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে কোন অর্থে ঘুরে দাঁড়াবেন?