ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে ভারতীয় নারীর

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশেদ আল-আলিমি। তিনি ২০১৭ সাল থেকে কারাগারে বন্দি আছেন। প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পাওয়ায় আগামী এক মাসের মধ্যে তার দণ্ডটি কার্যকর হতে পারে। ২০১৭ সালে এক ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বলেছেন, প্রিয়ার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহয়োগিতা করার চেষ্টা করছে সরকার।

প্রিয়ার ৫৭ বছর বয়সী মা গত বছরই ইয়েমেনের সানায় যান। তাকে বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা শুরু করেন তিনি। যারমধ্যে আছে ব্লাডমানিও। এটি একটি ইসলামিক নিয়ম। যেখানে হত্যার শিকার ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।২০১৭ সালে বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর তার পরিবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেয়। সবশেষে রায়টি প্রেসিডেন্টের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। তবে প্রেসিডেন্টও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এখন ব্লাডমানি ছাড়া এই ভারতীয় নারীর ছাড়া পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ইয়েমেনি নাগরিক মাহদির সহায়তায় নিজের ক্লিনিক খোলেন প্রিয়া। যেহেতু ইয়েমেনে বিদেশিরা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন না। তাই তিনি মাহদির সহায়তা নেন। তবে ক্লিনিক নিয়ে তাদের ঝামেলা হয়। এছাড়া মাহদি প্রিয়ার পাসপোর্টও নিয়ে নেন। তিনি প্রিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দিতে থাকেন।২০১৭ সালে নিজের পাসপোর্ট ফিরে পেতে মাহদির শরীরের ড্রাগ প্রয়োগ করেন তিনি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়