ইসরায়েলি হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দ্বিতীয় দফা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ছয়জন এবং জেনিনে একজন বয়স্ক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের হুতিরা হুমকি দিয়েছে, ইসরায়েল অবরোধ প্রত্যাহার না করলে লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজগুলোতে তারা পুনরায় হামলা শুরু করবে।

এদিকে ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামাসের সঙ্গে বৈঠক করার পর চটেছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার বৈঠকটি করেন। পরে তিনি সিএনএনের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরেকটি চুক্তির দেখা মিলতে পারে এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি পেতে পারে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রবিও বলেছেন, বৈঠকটি ছিল গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক পদক্ষেপ।

হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের এই বৈঠকের ব্যাপারটিকে ভালো চোখে দেখছে না ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তারা আনুষ্ঠানিক কিছু না বললেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কারণ, ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও হামাস নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের দূত বৈঠক করেছেন।
বোয়েলার সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আগে দেখব। পাশাপাশি অন্যদের বোঝা উচিত, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের এজেন্ট নয়।

এদিকে ইসরায়েলের অবরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রাখার শামিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের অবরোধ এমন একসময়ে শুরু হয়েছে, যখন হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ বাড়াতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল-আরিয়ান বলেন, অবরোধ জারি রাখার মাধ্যমে ইসরায়েল মূলত অন্য উপায়ে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে।
অবরোধের ফলে জীবনের সব ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম করছে। তারা জানে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কেবল দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে পারে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার, জর্ডানসহ মানবাধিকার সংস্থা। ইসরায়েলের বক্তব্য, তারা গাজায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে, তার পুরোটাই বন্ধ করে দেবে। হামাস বলেছে, দখলদার বাহিনী গাজার জনগণকে চাপে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। খবর আলজাজিরা ও ডনের।