ইসলামে সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, সীমান্ত পাহারা দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) সীমান্তরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং এ কাজে নিয়োজিতদের জন্য অসামান্য পরকালীন পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। এটি শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণা এ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। নিচে এ প্রসঙ্গে কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস তুলে ধরা হলো—

১. রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক দিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারায় কাটাবে, তার জন্য এক মাস রোজা রাখা এবং (রাত জেগে) ইবাদত করার সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি পাহারার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব বরাদ্দ হবে। তাকে (জান্নাত থেকে) রিজিক বরাদ্দ দেওয়া হবে, আর সে সব বিপদ থেকে থেকে রক্ষিত থাকবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ৩১৬৭)

২. রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর পথে এক দিন সীমান্ত পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও এর মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি: ২৮৯২; মিশকাত: ৩৭৯১)

৩. অন্য হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, ‘একটি দিন ও এক রাত আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা, এক মাস দিনে রোজা রাখা ও রাতে নামাজে দাঁড়ায়ে থাকার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ১৯১৩; মিশকাত: ৩৭৯৩)

৪. নবী (সা.) বলেন, ‘সীমান্ত পাহারা দেওয়া এমন এক আমল, যা সদকায়ে জারিয়ার মতো। এর সওয়াব সে কিয়ামত পর্যন্ত পেতে থাকবে।’ (আহমদ: ১৭৩৯৬; সহিহুত তারগিব: ১২১৮)

৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে যে বান্দার দুই পা ধুলায় মলিন হয়, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে এমন হতে পারে না।’ (বুখারি: ৪/২৮১১)

মুসলমানদের কাছে ভূখণ্ড রক্ষা, দেশ রক্ষা একটি পবিত্র দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার তৌফিক দিন।