দেশে আসন্ন ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশসহ ইসলামিক বিশ্বের পূর্ব দিকে ২০ জুন জিলহজ মাসের প্রথম দিন ধরা হবে এবং আগামী ২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। রবিবার (১১ জুন) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ জুন আরবি বছরের ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন। এদিন জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার জন্য আকাশে দৃষ্টি থাকবে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর। জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ জুন জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার বিষয়টি কষ্টসাধ্য হবে। বিশেষ করে ইসলামিক বিশ্বের মধ্যাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশগুলোতে খালি চোখ এবং টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখাও কঠিন হবে।
জ্যোতির্বিদদের গণনা অনুযায়ী, বিশ্বের অনেক দেশে ১৯ জুনকে জিলহজ মাসের প্রথম দিন হিসেবে ধরা হবে। ফলে আশা করা হচ্ছে, আরাফাতের দিন পড়বে ২৭ জুন এবং ঈদুল আজহার প্রথম দিন পড়বে ২৮ জুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে এখনও চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এসব দেশ নিজেদের চাঁদ দেখা কমিটি বা সংস্থা রয়েছে।
এছাড়া এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ওমান, মরক্কো, তুরস্ক এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ রয়েছে। ইসলামিক বিশ্বের পূর্বদিকে আগামী ১৮ জুন কোনোভাবেই চাঁদ দেখা সম্ভব নয় এবং ইসলামিক বিশ্বেও এদিন খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে না।
ফলে ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশসহ উপরোক্ত দেশগুলোতে ২০ জুনকে জিলহজ মাসের প্রথম দিন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং ২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব এবং ত্যাগের উৎসব। ঈদুল আজহার দিন বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা পশু কোরবানি দেয়। এছাড়া আরাফাতের দিন হজ পালনকারী মুসলমানরা মক্কার বাইরে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে জড়ো হন। আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন মুসলিমরা।