মো. সাইফুল ইসলাম:
যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর ফাঁকা ঢাকায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ জন্য রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল। চলছে গোয়েন্দা নজরদারি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, গত ঈদে রাজধানীতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছি। আমাদের টহল পুলিশ আছে সার্বক্ষণিক। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার আনাচে-কানাচে নজরদারি করছে।
ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় তরুণদের মোটরসাইকেল বা কার রেসিং না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়, স্থাপনা, কূটনীতিক পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিশেষ করে, রাতের বেলা এসব এলাকায় চলাচলে নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। রাজধানীর ৫০টি থানার ওসিকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সময় যেন বাসা-বাড়িতে চুরি-ডাকাতি না ঘটে, সেজন্য রাতের বেলা টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা ঠেকাতে প্রস্তুত আছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সিটিটিসি। পুলিশের মোবাইল টিম বাসাগুলোর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখলেই তারা যেন থানা পুলিশকে অবহিত করে।
পুলিশ বলছে, রাজধানীতে যেসব অপরাধী ছিল, তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেহেতু, ঈদে আদালত বন্ধ, তাই তাদের জামিন পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে যেসব অপরাধী এখনো আছে, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছে গোয়েন্দারা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, ঈদুল আজহায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে। র্যাবের হেলিকপ্টার, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত আছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, রাজধানীতে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। কেননা, এ সময় রাজধানীর বেশিরভাগ বাসিন্দা ঈদে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। ফাঁকা শহরে অপরাধীরা সুযোগ নেওয়ারও চেষ্টা করে।