উত্তরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রকাশিত: ৩:০৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৩

আমিনুল ইসলাম বাবু:

রাজধানীর উত্তরায় মো. লিমন আহমেদ (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত ওই শিক্ষার্থী আই,ই,এস উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার  দিবাগত মধ্যরাতে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায়  নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত তাকে রক্তাক্ত জখমি ও গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তারা বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে সেখান থেকে তার বাবা আব্দুল খালেকসহ নিহতের বন্ধুরা রাত সোয়া ১০ টায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া আরও বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলার গৈনাথপুর গ্রামের আব্দুল খালেক এর ছেলে। বর্তমানে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে পরিবারের সাথে থাকতো।

উদ্ধারকারী নিহতের বন্ধু দিপ হাওলাদার জানান, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১৪ নং সেক্টরের ১০ নং রোডে জহুরা মার্কেটের সামনে বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে চা পান করছিল তিন বন্ধু, লিমন, দিপ ও আদনান। সেখানে বখাটে ওবায়দুল, শাহজালাল, মমিনুলসহ কয়েকজন যুবক তাদের সাথে চলাফেরা না করায় কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে তর্কের  একপর্যায়ে ওবায়দুল ধারালো ছুরি দিয়ে আদনানকে ছুরিকাঘাত করে, লিমন এগিয়ে গেলে তাকেও বুকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহতের মা লাকি বেগম বলেন, ছেলে আমার কাছে নুডলস খেতে চেয়ে ছিল, আমি তা ব্যাবস্থা করার আগেই সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে সংবাদ পাই, সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেছে। সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। জামালপুর সদর উপজেলার গৈনাথপুর গ্রামের আব্দুল খালেক এর ছেলে। বর্তমানে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে পরিবারের সাথে থাকতো।