উপজেলা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,কিশোরগঞ্জঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু।
আজ বৃহস্পতিবার বড় ধরনের অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দু’দিনের মধ্যে ৮৫টি কেন্দ্রের লিখিত ফলাফল দাবি করেন। এর আগে তিনি নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। পাকুন্দিয়া সদরের ঈদগা মাঠে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক এমদাদুল হক জুটনকে আনারস প্রতীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম রেনু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট। রফিকুল ইসলাম রেনু ৮৫টি কেন্দ্রের লিখিত ফলাফল না পেলে বড় ধরনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ভোট পুনঃগণনা অথবা নতুন করে নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রেনু ভোটের হিসাবে বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরে বলেন, কোটি কোটি টাকার লেনদেনের মাধ্যমে জালিয়াতি করে জুটনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট গণনার এক পর্যায়ে প্রায় এক ঘণ্টা গণনা বন্ধ রেখে কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। এসময় তিনি কেন্দ্রগুলোর নামও উল্লেখ করেন।
রেনু জানান, একই ভোটার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। অথচ পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোট দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার ৩৩৪টি। দু’জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মোট প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছে ৭০ হাজার ২০৬ ভোট। কিন্তু তিনজন ভাইস চেয়ারম্যানের প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার ৪১৬টি। চেয়ারম্যানদের ভোটের চেয়ে ৫ হাজার ৮২ ভোট বেশি।
রফিকুল ইসলাম রেনু এই কারসাজির পেছনে এলাকার স্বতন্ত্র এমপি পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এলাকার এমপি সোহরাব উদ্দিন এবং বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনকেও ফোন করা হয়েছিল। তাঁরাও রিসিভ করেননি।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ, এলাকার বিশিষ্টজন সাইদুল হক, লাল মিয়া, দুলাল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক এখলাছ উদ্দিন প্রমুখ।