উপজেলা নির্বাচনে হাতিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান এমপিপুত্র আশিক
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,নোয়াখালীঃ
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী অমি। একইসঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের দুই পদেও প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী নেই।সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে তিনজনের মধ্যে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ও অপর প্রার্থী মুসফিকুর রহমান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, হাতিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে আশিক আলী অমি, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. কেফায়েত উল্যাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামছুন নাহার বেগমকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আয়েশা ফেরদাউস, তার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক আলী অমি এবং জাতীয় পার্টি থেকে মুসফিকুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. কেফায়েত উল্যাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামছুন নাহার বেগম এককভাবে মনোনয়ন জমা দেন।
মুসফিকুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর পরিবার আমাকে রাজনীতিতে এনেছে। মাঝখানে আমি ভুল করে দূরে সরে গিয়েছিলাম। এখন আবার আমি ওই পরিবারের সঙ্গে থেকে এলাকায় উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবো। তাই নিজে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, আমি দুই বার এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। এবার আমার স্বামী হাতিয়াবাসীর আপনজন সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমার ছেলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আশা করি সে বাবার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাবাসীর সেবা করবে।
আশিক আলী অমি বলেন, আমার বাবা মোহাম্মদ আলী ও মা আয়েশা ফেরদাউস দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আমি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রার্থী হয়েছি। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো বলেছিলাম এবং আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। তবে কোনো প্রার্থী না থাকায় একক প্রার্থী হয়েছি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। হাতিয়ার আপামর মানুষের সেবা করতে চাই।এ উপজেলায় প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিন পদেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একক প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।