উপজেলা নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থিতার শর্ত সহজ করে জামানত বাড়াতে চায় ইসি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলাম:
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিতে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার শর্ত তুলে দিয়ে জামানত বাড়ানো হবে।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আগের জামানত বাড়িয়ে এক লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন।’
বর্তমান নির্বাচন বিধিমালায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ১০ হাজার এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের জামানত ৫ হাজার টাকা।
তিনি জানান, রঙিন পোস্টার ব্যবহার, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর তুলে দেওয়ার প্রস্তাবসহ একগুচ্ছ সংশোধনে অনুমোদন দিয়েছে ইসি।
ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। সেগুলো ভেটিং শেষে বিধিমালা সংশোধন হবে।’
যেসব প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে
১. পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচরণার প্রস্তাব করা হয়।
৩. পাঁচ জনের বেশি কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না।
৪. প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করা যাবে না।
৫. নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না।
৬. নির্বাচনি প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার করা যাবে না।
৭. শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের বেশি হতে পারবে না।
৮. প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৯. স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনেরযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১০. অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
১১. চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১২. সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
১৩. প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৪. চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্যদের এক লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৫. মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়।
১৬. নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৭. মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৮. নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।