উপবৃত্তির সঙ্গে পোশাক কেনার টাকাও পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০

দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অবশেষে উপবৃত্তির টাকা পেতে যাচ্ছে প্রাথমিকের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের সংকটের কারণে ঈদের আগেই পরপর ৯ মাসের টাকা পাবে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রাথমিকের একেকজন শিক্ষার্থী জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য এক হাজার করে টাকা পাবে। এ জন্য এ–সংক্রান্ত প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান’ প্রকল্পের পরিচালক মো. ইউসুফ আলী আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে আজ এ বিষয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকল্পের মেয়াদ গত জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে। একই সঙ্গে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের উপবৃত্তির টাকা অতিসত্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনাকালীন জানুয়ারি থেকে জুনের (দুই কিস্তি) উপবৃত্তি একসঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের নতুন সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি শিক্ষার্থীকে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য এক হাজার করে ‘অ্যালাউন্স’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ১৪ মের মধ্যে তথ্য দিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার ও মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয় সরকার। এই উপবৃত্তির ফলে প্রাথমিকে ভর্তি বেড়েছে, কমেছে ঝরে পড়া। কিন্তু জটিলতার কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে এই টাকা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ে। করোনার এই সংকটের সময় টাকা পেলে উপকার হতো বলে অভিভাবকেরা বলে আসছেন । বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রতিবেদনটি তাঁদের খুব কাজে দিয়েছে। সরকারের অনুমোদন পাওয়ায় এখন আগামী কিছুদিনের মধ্যে গত অক্টোবর -ডিসেম্বরের কিস্তির উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। আর জানুয়ারি থেকে জুনের টাকা ঈদের আগেই দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার টাকাও দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি তিন মাস পরপর বছরে চার কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের মায়েদের কাছে।
সূত্র- প্রথম আলো।