উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেরোবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

রংপুর প্রতিনিধি:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না দিলে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই আলটিমেটাম দেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া হলে রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের আট জেলা অর্থাৎ পুরো উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে।

মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আবু সাঈদ জীবন দেওয়ার পর পুরো দেশের আন্দোলন বেগমান হয়ে উঠলো। সেই আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে কোনো বৈষম্য মানা হবে না। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় এক মাস থেকে ভিসি শুন্য। ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আগামী সোমবার তথা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেরোবি ক্যাম্পাসে ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হলে রংপুরের মর্ডান মোড় অবরোধের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে।
বেরোবি বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সামছুজ্জামান সুমন বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করে আবু সাঈদ ভাই জীবন দিয়েছেন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তারই ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য মানববন্ধন করতে হচ্ছে। ভিসি স্যার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। আমরা মেধার বৈষম্য দূর করতে আন্দোলন করেছি। সেই মেধা কোনোভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বেরোবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল, সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি একটাই—অল্প সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না দিলে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে আমরা শিক্ষকরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণ করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর একে একে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি পদত্যাগ করেন। বর্তমানে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।