ইসলামিক ডেস্ক:
হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান ছিলেন। তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ব্যবসা বাণিজ্য করা। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পারিবারিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় সময় তিনি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতেন।
তিনি অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারী ছিলেন। তবে কখনো সম্পদের মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। সম্পদ নিয়ে তার মনে কোনো অহংকারবোধও ছিল না। ভোগ-বিশালের নেশাতেও মত্ত হতেন না তিনি।
তিনি প্রায় সময় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কাছে গিয়ে তার বাড়ির আড্ডায় বসতেন। আবু বকর রা.-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
হজরত উসমান রা.-এর চেহারা ছিল সুদর্শন, গায়ের চামড়া ছিল পাতলা, দাড়ি ছিল বড় ও ঘন। দেহ ছিল মাঝারি ধরনের। হাড়ের জোড়া ছিল বড়। দু’কাঁধের মধ্যখানে দূরত্ব ছিল অনেক। মাথার চুল ছিল প্রচুর ঘন। দাঁত ছিল পরিপাটি, রঙ ছিল তামাটে। কেউ কেউ বলেন, তার চেহারায় বসন্তের কিছু চিহ্ন ছিল।
যুহরি থেকে বর্ণিত, তার চেহারা ও দাঁত ছিল সুন্দর, দেহ ছিল মধ্যমাকৃতির, মাথার সামনের দিকের চুল ছিল না। পায়েল গোছা ছিল সুডোল। তিনি কাল খিযাব ব্যবহার করবেন। তিনি সোনা দিযে দাঁত বাঁধিয়েছিলেন। তার বুক আর বাহুতে পশম ছিল।
তার এর দান ও বদান্যতার উদাহরণ ছিল অতুলনীয়। ইসলামকে সমুন্নত করতে ও মুসলমানদের প্রয়োজনে তার সম্পদ পানির মতো ঢেলে দিয়েছেন। যখন মুসলমানদের ঠোঁট পিপাসায় শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছিল, খাদ্যের স্বল্পতা, পিপাসায় কাতর শিশুপ্রাণ উষ্ঠাগত, পানি ক্রয় করার সাধ্য ছিল না একটুকুও তখন হজরত ওসমান রা. বিশ হাজার দিরহামে বিরে রূমা ক্রয় করে মুসলমানদের জন্য স্থায়ী বন্দবস্ত করেছিলেন।
তেমনি মুসলমানদের সংখ্যাধিক্যের দরুন যখন মসজিদে নববী সম্প্রসারণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল এবং মুসলমনরা আকাঙ্খা করছিলেন যে, যদি মসজিদটি আরও প্রশস্ত হতো! তখন হজরত ওসমানই প্রথম উদ্যোগী হয়েছিলেন।
মোটকথা মুসলমানদের যাবতীয় প্রয়োজনে তিনি পাশে থাকতেন।
হজরত ওসমান রা. ছিলেন লজ্জাশীলতায় সর্বকালীন দৃষ্টান্ত। স্বয়ং রাসূলে কারীম সা. ও তাঁর এই লজ্জাশীলতাকে বিশেষ মর্যাদা দিতেন। তার লজ্জাশীলতা এতো তীব্র ছিল যে, ঘরের দেয়ালও কখনো তার শরীর দেখেনি।