উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:
ঢাকায় কর্মরত রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে সভাপতির পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। আর সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। কার্যনির্বাহী সদস্যের ৭টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন।


সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকেই ডিআরইউ প্রাঙ্গণ ছিল প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যস্ত। ভোট শুরুর পর প্রার্থীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। সব মিলেয়ে ডিআরইউতে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।


ডিআরইউর এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক।


ডিআরইউ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ডিআরইউ প্রাঙ্গনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা ও মুহুর্তের জন্য সেগুনবাগিচা এলাকাটি সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

সকাল থেকেই প্রার্থীরা সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের মনজয় করতে ভোট প্রার্থনা করছেন। দুপুরের পর থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিআরইউ প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকা লিফলেট-পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে।

 

 

বিকেল ৫টার আগমুহুর্তে ভোটারদের সরব উপস্থিতিতে জয়-পরাজয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা।
ডিআরইউ নির্বাচনে মোট ২১টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে একটি পদ ছাড়া বাকি ২০টি পদেও বিপরীতে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
বিভিন্ন পদে প্রার্থী হলেন যারাঃ
সভাপতির পদের জন্য ৪ প্রার্থী হলেন- কবির আহমেদ খান, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং জহিরুল হক রানা।
সহ-সভাপতির পদে গাযী ৩ জন প্রার্থী হলেন- আনোয়ার, হালিম মোহাম্মদ এবং শফিকুল ইসলাম শামীম।
সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন- মাইনুল হাসান সোহেল, আব্দুল্লাহ আল কাফি ও মহিউদ্দিন।
যুগ্ম সম্পাদকের ১টি পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- মাইদুর রহমান রুবেল এবং মিজানুর রহমান (মিজান রহমান) ভোট করছেন।
অর্থ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন দুজন। এরা হলেন- কামরুজ্জামান বাবলু এবং জাকির হুসাইন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন ৪ জন। তারা হলেন- আবদুল হাই তুহিন, হাসান জাবেদ, খালিদ সাইফুল্লাহ এবং এম এম জসিম।
দপ্তর সম্পাদক পদে দু’জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- শাহাবুদ্দিন মাহতাব এবং রফিক রাফি। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- মাহমুদা ডলি এবং রোজিনা রোজী।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- মেসবাহ উল্লাহ শিমুল এবং সুশান্ত কুমার সাহা।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- রাশিম (রাশিম মোল্লা) এবং এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন)।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- মাকসুদা লিসা ও মাহবুবুর রহমান। অপ্যায়ন সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। এরা হলেন- আমিনুল হক ভ‚ঁইয়া ও মোহম্মেদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ)।
কল্যাণ সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- তানভীর আহমেদ ও নার্গিস জুঁই।
এর আগে কোনো প্রার্থী না থাকায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন।
অন্যদিকে কার্যনির্বাহী সদস্যের ৭টি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন মহিন, ফারহানা ইয়াছমিন (জুঁথী), হাবিবুর রহমান (হাবিব রহমান), হাসান ইমাম ইমরান, শরীফুল ইসলাম, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা ও সাঈদ শিপন।