এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বিশেষ বার্তা

প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে প্রায় ২০ বছর ধরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) রয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সংস্থাই এ ভাইরাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেয়নি।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে দেশে এইচএমপিভি সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, এইচএমপি ভাইরাস বাংলাদেশে প্রায় ২০ বছর ধরেই রয়েছে। এ ভাইরাস সাধারণ একটি ফ্লুর মতোই। এটি কোনো ভয়ানক ভাইরাস নয়। করোনা সংক্রমণের মতো পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এখনই প্রয়োজন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সংস্থাই এই ভাইরাস নিয়ে এখনও বাড়তি সতর্কতার মতো কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

তবে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, যারা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণে একটু জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, গায়ে ব্যথা হতে পারে।

‘এই ভাইরাসে সংক্রমণ হলে এটি বাড়তি ঝুঁকিতে পড়বে না। কারণ এটা চীনে প্রথম সংক্রমিত হলেও সেখানেও বাড়তি কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। অতএব বাংলাদেশিরা আতঙ্কিত হওয়ার বা খুব বেশি সতর্কতার প্রয়োজন নেই বলে যোগ করেন তিনি।

এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাসকষ্ট এইচএমপিভির সাধারণ লক্ষণ। তবে সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার, ঘন ঘন সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়াসহ সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।