একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাত জন

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০২৩

 

রাত ৩টা ৪৫ মিনিট। স্ত্রীকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন জেডএম তৌকি ইয়াসির। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে দাউদকান্দির গাজীপুর পাকা রাস্তার মাথায় পৌঁছালে যানজট লাগে। তাই কম গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। আচমকা দুই ব্যক্তি ছুরি ধরে তাদের মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। দ্রুত নিয়ে নেয় মোটরসাইকেলের চাবি। পরে মহাসড়কেই সবার সামনে একে একে লুটে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা সব মূল্যবান জিনিসপত্র।

ওই সময় জেডএম তৌকি ইয়াসিরের মাথার হেলমেটের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছিল সব। আর সেই ভিডিও দেখেই দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতের এ ঘটনার পরদিন বুধবার আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুজন হলো– দাউদকান্দির পশ্চিম মাইজপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে রাকিব (২৩) এবং উত্তর সাতানন্দি সওদাগর বাড়ির আবদুর রাজ্জাক ব্যাপারির ছেলে জয় (২৭)। ছিনতাইয়ের মালামাল উদ্ধার করা হয় শান্ত, সোহাগ (২৮), জাহিদ হাসান নামে তিন জনের কাছ থেকে। তারা সবাই পরিকল্পিতভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার রাকিবের নামে ১৩টি, সোহাগের নামে ১১টি, জয়ের নামে সাতটি এবং জাহিদের নামে তিনটি ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলের সামনে থাকা একটি স্মার্টফোন মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ, নগদ টাকা, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড এবং স্ত্রী কামরুন নাহার তন্বীর কাছ থেকে নগদ এক হাজার ৩০০ টাকা, একটি স্মার্টফোন এবং একটি ড্রোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রি করে দেয়। গ্রেফতারের পর আসামিদের তথ্যে সব মালামাল উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, একই রাতে দুলাল মিয়া নামে এক ট্রাকচালককে দাউদকান্দির তুজারভাঙ্গা বাগানবাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি সুইচ গিয়ার ছুরি দেখিয়ে স্মার্ট ফোন এবং নগদ চার হাজার টাকা ছিনতাই করে।

এ ঘটনায় আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার দোনারচর এলাকার মাইজ উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিনের (৩৭) বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পলাতক রয়েছে আপ্পি নামে স্থানীয় আরেকজন। আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন ও সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘দুটি ঘটনাতেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আসামিদের ধরেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতি, ছিনতাইসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।’