‘এক দফা এক দাবি’ এনআইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে অবস্থান করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ)-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এক দফা এক দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইসির সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এসময় তারা গত ১৭ বছরের নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই ১৭ বছর ধরে কোনো বোনাস পাননি, আবার বেতনও বাড়েনি।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় এনআইডির এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

দাবির বিষয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। এছাড়া আইডিইএ প্রকল্পের সব আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের চাকরি রাজস্বে স্থানান্তর করতে হবে। বর্তমানে আইডিইএ প্রজেক্টের ২ হাজার ২৬০ জন লোকবল রয়েছে। এদের মাধ্যমেই এনআইডি’র যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।
আন্দোলনকারীরা আরও জানান, আমাদেরকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটা আমাদের এক দফা এক দাবি। যতক্ষণ পর্যন্ত রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না ততক্ষণ আমরা এ কর্মসূচি থেকে সরবো না। আমরা গত ১৭ বছর ধরে চাকরি করছি কিন্তু কোন বোনাস পাই না, কখনও বেতন বাড়ে না। সবসময় বৈষম্যের শিকার হয়েছি। রাজস্ব খাতের আমার পাশের কর্মকর্তা বোনাস পায়, বেতন বাড়ে কিন্তু আমাদের কিছুই হয় না। এই বৈষম্য আমরা মানব না।
এনআইডি অনুবিভাগ ইসি থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নেওয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেখানে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম না নেবে ততদিন পর্যন্ত তা ইসির অধীনেই থাকবে। সরকার আইনটি করার সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি সরবরাহ করা হয়, সেহেতু ইসির অধীনে এই কার্যক্রম থাকাই নিরাপদ। এছাড়া ইসির এই কার্যক্রমের জন্য রয়েছে দেড় যুগের দক্ষতা, অবকাঠামো। নতুন করে অন্য কোনো দপ্তরের অধীন নিলে নতুন করে লোকবল, অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে। অন্যদিকে এনআইডি কর্মরতদের অনেকের চাকরিজীবন কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে না নেওয়াটা অমানবিক মনে করছেন অনেকে।