এজলাসে ছাদ থেকে পড়ল পানি, ছুটে এলেন গণপূর্তের চিফ ইঞ্জিনিয়ার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সময় ছাদ থেকে বিচারকদের আসনে পানি পড়ার ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন গণপূর্তের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম আক্তার।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তার টিম নিয়ে ছুটে আসেন। এসে এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন। আজ থেকেই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সময় ছাদ থেকে বিচারকদের আসনে পানি পড়ার ঘটনায় প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। ১৮ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিচারকাজ। তারপর রেজিস্টার জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। তড়িৎ গতিতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় বিচারকদের আসন। ১৮ মিনিট পর ১০টা ২ মিনিটে আবার বিচারকাজ শুরু হয়।বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আপিল বিভাগে বিচারকরা এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। যথারীতি বিচারকাজ শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বিচারকাজের শুরু থেকেই বিচারকদের ডানপাশে বসা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আসনে ছাদ থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছিল। তিনি বিষয়টি তার বেঞ্চ অফিসারকে জানান। একপর্যায়ে পানি পড়ার ঘটনা প্রধান বিচারপতির নজরে আসে। ৯টা ৪৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এরপর এজলাস কক্ষে ছুটে আসেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে বিচারকদের আসন সড়িয়ে ফেলা হয়। তারপর ১০টা ২ মিনিটে পুনরায় আপিল বিভাগে আসন গ্রহণ করেন বিচারপতিরা। শুরু হয় বিচারকাজ।
দ্বিতীয় দফায় বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ছাঁদটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ভালো করে দেখানো উচিত।
সহমত পোষণ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ছাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ, আজকে থেকে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করবে। এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও সহযোগিতা করার জন্য বলেন তিনি।এর আগেও আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ছাদ থেকে পানি ও পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।