এনজিওর আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর নামে প্রতারণায় গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এনজিওর আড়ালে জাল কাগজপত্র তৈরি করে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ চক্রের সক্রিয় আরও এক সদস্য ধরা পড়েছে। তার নাম- মো. রিয়াজ মাহমুদ। এসময় তার হেফাজত থেকে ১টি মোবাইল ও ১টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের আরো ৭ সদস্যকে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (১২ জুন) চাঁদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে রিয়াজ মাহমুদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের কথা বলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভুয়া তথ্যযুক্ত ই-মেইল পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহের আবেদন করা হচ্ছে, মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধির এমন অভিযোগে ডিএমপির গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত রিয়াজ মাহমুদ একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। রিয়াজসহ ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত এই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা এনজিওর আড়ালে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে আমেরিকা, ফ্রান্সসহ উন্নত দেশগুলোতে মানবপাচার করছে। তারা এনজিওর বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয়ে কনফারেন্সে যোগদানের জন্য জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ই-মেইল প্রেরণ করতো। পরবর্তীতে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসে হাজির হয়ে জাল কাগজপত্র দাখিল করে আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতো। গ্রেফতারকৃতদের এ ধরনের প্রতারণায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই চক্রের কারণে যে সকল ব্যক্তি প্রকৃত কারণে মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেন, তারা নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

গ্রেফতারকৃত রিয়াজ মাহমুদকে গুলশান থানায় রুজুকৃত মামলায় আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশে থাকা দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম।