সেলিনা আক্তারঃ
এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.৭৪ শতাংশে নেমেছে। যা মার্চ মাসে ছিল ৯.৮১ শতাংশ। অন্যদিকে এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশে উঠেছে। যা মার্চ মাসে ছিল ৯.৮৭ শতাংশ।সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে উঠেছে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৯.৮৭ শতাংশ। তার আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ নভেম্বরের পর আবারও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
তবে ওই একই মাসে (এপ্রিল) খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে এর হার ছিল ৯.৪ শতাংশ। মার্চ মাসে যা ছিল ৯. ৬৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৩৩ শতাংশ।
তবে পল্লী এলাকায় সার্বিক, খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। দেখা যায়, পল্লী এলাকায় এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৯২ শতাংশ। যা মার্চ মাসে ছিল ৯.৬৮ শতাংশ। আবার খাদ্য খাতে পল্লী এলাকায় এপ্রিলের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ .২৫ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ৯.৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতেও এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৬০ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ৯.৪১ শতাংশ।
এছাড়া শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৪৬ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ৯.৯৪ শতাংশ। আবার শহরাঞ্চলে খাদ্যখাতে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১৯ শতাংশে। যা মার্চে ছিল ৯.৯৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতেও শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি অনেকাংশেই কমেছে। এপ্রিলে এ খাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.০১ শতাংশ। যা মার্চ মাসে ছিল ৯.৭১ শতাংশ।