ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১ ফেব্রুয়ারি ভোট থাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা একদিন পিছিয়ে যাচ্ছে। এবারের বইমেলা ২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথমদিনে মাসব্যাপী একুশে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। তবে এবার সিটি নির্বাচনের কারণে বইমেলা একদিন পিছিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রথমে ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটের দিন রেখেছিল। তবে ওইদিন সরস্বতী পূজা থাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের মুখে ভোটের তারিখ পেছাতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানান, ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। এ মঞ্চ থেকেই ২০১৮ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই দিন বিকাল ৫টার পর সাধারণ দর্শক-পাঠকের জন্য খুলে যাবে বইমেলার দরজা।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা, ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাহান্নর চেতনা থেকে একাত্তর, যার ভেতরে জড়িয়ে আছে ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯- বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের এই পথচলাকে এবার উদ্যাপন করা হবে মেলাজুড়ে। এর জন্য এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিজয়: বাহান্ন থেকে একাত্তর (নব পর্যায়)’।
সেইসঙ্গে ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হবে এ মেলা থেকে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নামকরণ করা হয়েছে ভাষা শহীদ বরকতের নামে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে।