এবার অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হলেন জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্টন থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পল্টন থানার এ মামলায় গত ১৩ জুন তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন কাদের। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী (রুমাম শেখ) ২০২১ সালের ২৬ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মুসল্লিদের সঙ্গে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। ফরজ নামাজ শেষে বাদী মসজিদের ভেতর উশৃঙ্খল ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী ¯ে¬াগান দিতে দেখেন। ওই দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার হেফাজত ও জায়ামাত-শিবির-বিএনপি কর্মীদের উশৃঙ্খল জমায়েত দেখেন। তাদের সেøাগান ও কথোপকথনে বাদী জানতে পারেন হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জায়ামাত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করা ও ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। এসময় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাদীসহ সাধারণ মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
পরবর্তীতে উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সরকারবিরোধী ¯ে¬াগান দিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে মিছিলসহ অগ্রসর হয়। কিন্তু উপস্থিত মুসলি¬ ও জনতার শক্ত প্রতিরোধে মুখে তারা পিছু হটেন এবং আসামি মাওলানা লোকমান হাকিম (যুগ্ম-মহাসচিব) বাদীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আসামি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ মামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং তার নির্দেশে হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার মূলরহস্য উদঘাটন এবং মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আসামি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো একান্ত প্রয়োজন বলে উলে¬খ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই থেকে কারাগারে আটক আছেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।