আক্তার হোসেন আজাদ:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দা‘ওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহজালাল এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় এমফিল ডিগ্রির জন্য প্রস্তুতকৃত অভিসন্দর্ভটি অনুমোদিত হয়।
তার গবেষণার বিষয় ছিলো “মানব সম্পদ উন্নয়নে বেসরকারী সংস্থার ভূমিকা: ইসলামী দৃষ্টিকোণ”। গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন দাওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহম্মদ হোসাইন আহমদ।
তার গবেষণায় মানব সম্পদ উন্নয়ন পরিচিতি, ইসলামে মানব সম্পদ উন্নয়ন, বেসরকারি সংস্থার পরিচয় উৎপত্তি, বিকাশ ও কার্যাবলি, মানব সম্পদ উন্নয়নে বেসরকারী সংস্থার ভূমিকা ও বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম: ইসলাম ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া অধ্যায়সমূহের আলোচনান্তে গবেষণাকর্মের উপর একটি উপসংহার, একটি সুপারিশমালা এবং একটি গ্রন্থপঞ্জি সংযোজন করা হয়েছে।
মো. শাহজালাল বলেন, “মানব সম্পদ উন্নয়নে বেসরকারী সংস্থার ভূমিকা: ইসলামী দৃষ্টিকোণ” শীর্ষক শিরোনামে গবেষণা করার সুযোগ করে দেওয়ায় আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বিভাগের সম্মানিত প্রফেসর ড. হুসাইন আহমাদ-স্যার এর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে এ গবেষণাকর্মটি সম্পন্ন করা সম্ভব হত না।
জানা যায়, মো. শাহজালাল ১৯৯২ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার অন্তর্গত চর নবীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মো. লুৎফর রহমান এবং শাহানারা খাতুনের ৪র্থ সন্তান।
তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দা‘ওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের থেকে ২০১৪ সালে স্নাতক ও ২০১৫ সালে স্নাতকোত্তর কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। ২০২২ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি একটি স্বনামধন্য ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন। এছাড়া ছাত্রজীবনে তিনি একটি জাতীয় বিতর্ক সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গবেষণার বিষয়ে মো. জাহজালাল বলেন, ‘মানব সম্পদ উন্নয়ন’ বর্তমান বিশ্বে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল আলোচিত একটি বিষয়। বর্তমানে সকল দেশ ও জাতি মানব সম্পদ উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে। কারণ, মানব সম্পদের যথার্থ উন্নয়ন ছাড়া কিছুতেই প্রকৃত ও টেকসই জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানব সম্পদ উন্নয়নের ধারণাটি ব্যাষ্টিক অর্থনীতির সাথে যুক্ত। ব্যাষ্টিক অর্থনীতির প্রবক্তারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অবস্থা দূর করার জন্য যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন, তার প্রেক্ষিতে মানব সম্পদ উন্নয়ন ধারণার সাথে বিশ্ব পরিচিতি লাভ করে।