এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ক্রীড়া ডেস্ক :
গত শুক্রবার ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই এক সপ্তাহে নতুন অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা রকম খবর চাউর হয়েছিলো। শেষ অব্দি সাকিবকেই বেছে নিতো হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবের অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
গত শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক করে তামিম অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। দলের স্বার্থে তিনি সরে দাঁড়ান। এরপর অধিনায়ক ঠিক করতে গত মঙ্গলবার বিসিবি জরুরি সভার আহবান করে। কিন্তু ওই সভাতে অধিনায়ক ঠিক না করে বোর্ড প্রধানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। এই সময়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছাড়াও লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের নাম শোনা গিয়েছিল।
অবশেষে আজ শুক্রবার অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম জানা গেছে। বিসিবি সভাপতির গুলশানের বাসায় সংবাদমাধ্যমের কাছে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম নিশ্চিত করেছেন পাপন। বোর্ড প্রধান বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল (শনিবার) ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের জন্য ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকরা।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগে থেকেই বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব আছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব। তবে আপাতত ওয়ানডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেওয়া সাকিব ভবিষ্যতে তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব পালন করবেন কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। সাকিবের সাথে আলোচনা করেই বিসিবি পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত নেবে।
সাকিবের নেতৃত্বে এর আগে ঘরের মাঠে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই বছরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর পাকাপাকিভাবে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থাকেননি তিনি। মাঝে ২০১৫ সালে দুটি ও ২০১৭ সালে একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন মাশরাফির অবর্তমানে। এবারও পাকাপাকিভাবে দায়িত্ব পাননি, পেয়েছেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে।
২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৪৯ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন সাকিব। প্রথমবার অধিনায়কত্ব পেয়ে সাকিব ওই সময়ে জেতেন ২২ ম্যাচ।