এসকে সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে বিচার বিভাগে আতংক সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

ঢাকা প্রতিনিধি:

দ্রুত গতিতে বিচার বিভাগের সংস্কার চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অনেক বিচারক রাজনৈতিকভাবে বিচার করেছেন। আইনজীবী সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। এদের অপসারণ করতে হবে। বার সভাপতি বলেন, গত সরকারের আমলে অনেক ভালো বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের নিয়ে কোন আপত্তি নাই।
তিনি বলেন, ৬০/৬২ জন বিচারককে গুরুত্বপূর্ণ বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। এদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এত পর্যবেক্ষণ করার কিছু নাই। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোন নীতিমালা করা হয়নি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অবশ্যই মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদের বিচারক নিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ক্যান্সার রোগী বানিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ব্যাংককে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়। এজন্য বিচার বিভাগে আতংক সৃষ্টি করছিল যাতে কেউ সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কোন আদেশ বা রায় না দেয়।

বার সভাপতি বলেন, গত ১৬ বছরে দুদক কিছু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন অনেক দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির কথা মিডিয়ায় আসছে। গত ১৬ বছরে দুদক আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেনি। এটা এখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদকের কৌসুলিরা এর সহযোগী। খুরশীদ আলম খান এখনো দুদকে রয়ে গেছেন৷ উনি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিরোধিতা করেছেন। ওই আইনজীবীকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে কত লোক মারা গেছে তার সংখ্যা এখনো নিরূপণ করা হয়নি। অন্তর্র্বতী সরকারের দ্রুত এই সংখ্যা প্রকাশ করা উচিত।

বার সভাপতি বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী কোন কোন বিচারককে ফোন করে রায় ঘোষণায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার ফোন রেকর্ড প্রকাশ করা উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। দেশের টাকা কারা চুরি করল সেটা জনগনের জানা দরকার।