ওটিতে প্রসূতির মরদেহ রেখে পালালেন চিকিৎসক

প্রকাশিত: ১০:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে চান্দিনা উপজেলার নোয়াবপুর টাওয়ার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্তে বুধবার বিকেলে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

ভুক্তভোগী প্রসূতি রাবেয়া আক্তার (৩৪) চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের পাঁচধারা গ্রামের আশিকুর রহমান আশুর স্ত্রী। এ ঘটনায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক সারোয়ার জাহানসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর বাজারে ‘টাওয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ মঙ্গলবার রাতে রাবেয়া আক্তার নামে এক প্রসূতির সিজার হয়। অস্ত্রোপচারের আধাঘণ্টার মধ্যে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে রেখেই পালিয়ে যান চিকিৎসক সারোয়ার জাহানসহ সংশ্লিস্টরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে ভিড় করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

প্রসূতির স্বামী আশিকুর রহমান আশু সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্ত্রীর প্রসব ব্যথা হলে মঙ্গলবার রাতে ওই হাসাপাতালে নিয়ে যান। তাঁর সিজার করেন চিকিৎসক সারোয়ার জাহান। কিছুক্ষণ পর জানান আরও ওষুধ লাগবে, রক্ত লাগবে। পাঁচ মিনিট পর বলেন, দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসেন অন্য জায়গায় পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর কী সমস্যা হয়েছে জানতে আমরা ওটি রুমে প্রবেশ করতে গেলে তারা আমাদের কাউকে ঢুকতে দেয়নি। পরে জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে দেখি আমার স্ত্রীর মুখ ঢেকে রেখেছে। এ সময় ডাক্তারও ছিল না। পরে জানতে পারি, যিনি অপারেশন করেছেন তিনি একজন অদক্ষ চিকিৎসক।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. সোহাগ জানান, প্রসূতি মারা গেলেও বাচ্চা সুস্থ আছে। বাচ্চাটি পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। এটি একটি দুর্ঘটনা। অবহেলা নয়।

সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. আসমা বেগমকে আহ্বায়ক করে বুধবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।