ওমরাহ পালনে প্রস্তুতি: ধৈর্য ও জিকিরে মনোনিবেশের গুরুত্ব

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৪

ইসলামিক ডেস্ক:

ওমরাহ যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি ওমরাহ যাচ্ছেন আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে। তাই আপনার ব্যবহার যেন আশপাশের লোকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়। কাউকে কষ্ট দেবেন না, বরং কীভাবে কারও উপকার করা যায়, সেই চেষ্টা করুন। আপনার মুখে যেন সব সময় ভালো কথা থাকে। ভালো বা মন্দ যেকোনো কিছুতে বলুন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’; কোনো কিছুর শুরুতে বলুন, ‘বিসমিল্লাহ’; কোনো কিছু চাইলে ‘ইনশা আল্লাহ’; কোনো কিছুর প্রশংসার ক্ষেত্রে ‘সুবহানাল্লাহ’ বা ‘মাশা আল্লাহ’; কাউকে ধন্যবাদ দিতে ‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’; হাঁচি দিলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’; আর তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’; কোনো গুনাহ থেকে দূরে থাকতে ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ ইত্যাদি।

জিকির:

ভ্রমণের শুরু থেকেই নিজেকে আল্লাহর জিকিরে মগ্ন রাখুন। তসবিহ পড়ুন, কোরআন তিলাওয়াত করুন, আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চান, আল্লাহ খুশি হন—এমন কাজ করুন।

আরও পড়ুন

ওমরাহর একটা বড় পরীক্ষা হলো ধৈর্যধারণ; রেগে গেলে চলবে না। মনে রাখবেন, ওমরাহর সময়, আগে ও পরে এমন অনেক কিছু আপনাকে দেখতে হবে, যা আপনার ধৈর্য পরীক্ষা করবে। যে এজেন্সি আপনাকে ওমরাহ নিয়ে যাচ্ছে, তাদের কথার সঙ্গে হয়তো কাজের মিল খুঁজে না-ও পেতে পারেন। অনেক কিছু তারা আপনাকে বলেছিল, তা হয়তো আপনি পাচ্ছেন না বা পাবেন না অথবা বিমান ভ্রমণে বা ইমিগ্রেশনে অথবা জেদ্দা এয়ারপোর্টের বাইরে আপনাকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারও সঙ্গে এ সময় ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন না ও চেঁচামেচি করবেন না। মনে করবেন, আল্লাহ আপনার পরীক্ষা নিচ্ছেন এবং এটা তাঁরই ইচ্ছা। এমন সময় বেশি বেশি জিকির করুন ও ভালো চিন্তায় থাকুন।

কী কী দোয়া মুখস্থ করবেন

অনেক ওমরাহ গাইডে বিভিন্ন দীর্ঘ দোয়া দেখবেন—এগুলো দেখে ঘাবড়াবেন না; ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসলে ওমরাহ খুবই সহজ। আমাদের শুধু সেটাই অনুসরণ করতে হবে, যা আমাদের রাসুল (সা.) দেখিয়ে দিয়ে গেছেন; তা হলো সুন্নাহ। কে, কী করল বা পড়ল, এটা মুখ্য নয়—সহিহ হাদিস অনুসরণ করা এ জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এবার আসা যাক দোয়াগুলো প্রসঙ্গে। কাবা শরিফের চারদিকে ঘোরাকে বলা হয় তাওয়াফ। আর এই তাওয়াফ শেষ করতে হয় কাবাঘরের চারদিকে সাতটি চক্করের মাধ্যমে। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ছোটাছুটি করাকে বলা হয় সাঈ।

আপনাকে যা মুখস্থ করতে হবে, তার একটি হলো তালবিয়া ও অন্যটি তাকবির। তবে এটি শুধু মুখস্থ করলে চলবে না—এগুলোর অর্থও আপনাকে জানতে হবে। তাহলেই আপনার ভেতরে এর অনুভূতি আসবে। এই তালবিয়া ও তাকবির কী, সেটি আমরা জেনে নেব।

তালবিয়া:

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বায়িকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্‌ক, লা শারিকা লাক।