আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের কোনো অস্তিত্ব নেই। বেসরকারি সেনাদল নিয়ে আমাদের দেশে কোনো আইন নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কমার্স্যান্টকে একটি সাক্ষাৎকার দেন পুতিন। সাক্ষাৎকারে ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর দলটির কমান্ডারদের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক এবং দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘এই দলটি আছে। তবে আইনগতভাবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা ভিন্ন বিষয়। আইনি বিষয় আছে। এ জন্য স্টেট ডুমা ও সরকারের অনুমোদন দরকার। এটি একটি জটিল প্রশ্ন।’
গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ঘোষণার পর পর দেশটির রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে ওয়াগনার বাহিনী। তবে ওইদিন রাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
এ ব্যর্থ বিদ্রোহের পর ২৯ জুন ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তাদের মধ্যে তিন ঘণ্টা আলাপ-আলোচনাও হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, পুতিন প্রিগোজিনসহ ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত ২৯ জুন ক্রেমলিনে ওই বৈঠক হয়। তাদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা কথা হয়েছে।
এ বিদ্রোহ সম্পর্কে পুতিনের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অভিমত নেই। আপনার বা ন্যাটোর অভিমত থাকতে পারে। আমি বলতে পারি আসলে কী ঘটেছে।’
পুতিন জানান, তিনি মূলত ওয়াগনার কমান্ডারদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, যারা সম্মানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তবে প্রিগোজিনও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম এবং গত ২৪ জুনের ঘটনা সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছি। এ ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রসহ তারা কীভাবে তাদের সেবা দিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে সম্ভাব্য পথ নির্দেশ করেছি।’