বৈরী পরিবেশে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। উপরন্তু, চলছে ভরা পূর্ণিমা। এতে সাগরে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আঘাত হানছে। আজ শনিবার সাগরের জোয়ারের পানির চাপে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় হেলে পড়া জেলা পরিষদের বাংলো ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুল হক বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে সাগরের জোয়ারের পানির চাপে হেলে পড়া জেলা পরিষদের তিনতলা বাংলো পশ্চিম দিকে ধসে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় হিমছড়ি সৈকত এলাকায় গত শুক্রবার সকাল থেকে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে পুরো সৈকত ফাঁকা।
জোয়ারের পানির চাপে বাংলো ধসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় বাংলোর বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছিল। তখন বাংলোটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলোটি পশ্চিম দিকে (সাগরের দিকে) হেলে পড়লে দৃশ্যমান হয়। তখন বাংলোটি ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করে পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় বাংলোর আশপাশের দোকানপাট-রেস্তোরাঁও সরিয়ে ফেলা হয়। এখন পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। ঝড়-বৃষ্টি কমে গেলে ভবনটি অপসারণের কাজে হাত দেওয়া হবে।