কমিটির সঙ্গে গঠনতন্ত্র সংশোধন

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

২৬ অক্টোবর নির্বাচনের পর আজ প্রথম সভায় বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি। ২৮টি এজেন্ডা হওয়ায় প্রথম সভাকে অনেকে ম্যারাথন সভা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাফুফের আর্থিক বিষয়াদিসহ আজকের সভায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু হলো বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি ও গঠনতন্ত্র সংশোধন। জাতীয় দল ব্যবস্থা কমিটি, ডেভেলপমেন্ট কমিটি, পেশাদার লিগ কমিটি ও টেকনিক্যাল কমিটির দায়িত্ব কাদের ওপর বর্তায়– এসব বিষয়ে চোখ সবার।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে এই মিটিংয়ের শেষ হতে পারে বিকেলে। আবার এমনও হতে পারে কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাকি এজেন্ডাগুলো পরবর্তী মিটিংয়ের জন্য রেখে দেওয়া হতে পারে। এদিনই ঘোষণা করা হবে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলের জন্য আর্থিক পুরস্কার। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সাবিনা খাতুনদের জন্য পুরস্কারের অঙ্কটা দেড় কোটির মতো। আর এই অর্থ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মিলে দেবেন, যা প্রথম সভাতেই পাস হবে।
বাফুফের সর্বশেষ মেয়াদেই শুধু নন, গত তিনবারই জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দেশের ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি কে পাচ্ছেন, সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে অতীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাবিথ আউয়ালের। বর্তমানে সভাপতি হওয়ায় তিনি এই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন, নাকি অন্য কাউকে দেবেন, সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসানের নামও আছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার আলোচনায়। যশোরের শামসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাচিত সহসভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রতি আগ্রহ আছে। তৃণমূল ফুটবল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল কমিটিতেও তাঁর থাকার সম্ভাবনা আছে।

গত মেয়াদের শেষ দিকে পেশাদার লিগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা ইমরুল হাসানকে একই পদে রাখা হতে পারে। মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ ও পার্টনারশিপ নিয়ে কাজ করা কে-স্পোর্টসের স্বত্বাধিকারী সহসভাপতি ফাহাদ করিমও তৃণমূলের ফুটবলে কাজ করতে চান। তবে সবার আলাদা করে দৃষ্টি থাকবে বাকি দুই সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ ও মো. ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরীর (হ্যাপি) দিকে। ফুটবলের সঙ্গে অতীতে সম্পৃক্ত না থাকা এ দুই সহসভাপতি কোন কমিটিতে থাকেন, তা নিয়ে হিসাবনিকাশ করছেন অনেকে। পুরুষ ও নারী জাতীয় ফুটবল দল, বয়সভিত্তিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ খেলা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে হবে আলোচনা।
বাফুফের আওতাধীন বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি ও অ্যাডহক কমিটি গঠনের সঙ্গে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো গঠনতন্ত্র সংশোধন। নির্বাচিত হওয়ার পরই গঠনতন্ত্র সংশোধনের কথা বলেছিলেন তাবিথ আউয়াল।