করোনায় আবারও মৃত্যু ও শনাক্তে রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। গত একদিনে এই মহামারিতে মারা গেছেন আরও ২৩০ জন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল ১০ জুলাই মৃত্যু (১৮৫ জন) কমে এলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আগের দিনের সেই রেকর্ডও অতিক্রম করে দেশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন, যা একদিনে রোগী শনাক্তে নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৯১ জনের শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রবিবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩০ জনকে নিয়ে করোনায় দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৬ হাজার ৪১৯ জন আর নতুন শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৮৭৪ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৬২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০টি আর পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ এক হাজার ৭১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ জন আর নারী ৯৭ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ৫০৮ জন আর নারী চার হাজার ৯১১ জন।
এরমধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ ১১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন।
তাদের মধ্যে বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের আছেন ৫৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৬ জন, খুলনা বিভাগের ৬৬ জন, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আট জন করে, রংপুর বিভাগের ২২ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের পাঁচ জন।
উল্লেখ্য, ২৩০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন আর বাড়িতে ১৯ জন।