করোনায় মৃত্যু ২০০-এর ঘর পার করলো

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২১
ছবি- আসলাম।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০১ জন। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বুধবার (৭ জুলাই) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এর আগে গত ৫ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপরের দিন ১৬৩ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২০০-এর ঘর পার করলো।

ছবি- আসলাম।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৫ হাজার ৫৯৩ জন।


সর্বোচ্চ মৃত্যুর এ দিনে ফের ১১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে ১১ হাজার ১৬২ জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন নয় লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ১৪৭টি আর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি নমুনা। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২ টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০১ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন আর নারী ৮২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার দুই জন আর নারী মারা গেলেন চার হাজার ৫৯১ জন।

মৃতদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ২০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৮ জন, খুলনা বিভাগের ৬৬ জন, বরিশাল বিভাগের সাতজন, সিলেট বিভাগের নয়জন, রংপুর বিভাগের ১৪ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন আটজন।

মারা যাওয়া ২০১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।