বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মোট ১০৬৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আজ রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সুস্থতার বিষয়ে- ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, তারা নতুন একটি গাইডলাইন করেছে। আমরা রোগীদের কীভাবে সুস্থ বলতে পারব, তারা কীভাবে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে, কোন ক্রাইটেরিয়াতে, এই ক্রাইটেয়িরাতে সুস্থ হয়েছেন ১,০৬৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়া ৬২৪ জন এবং বিভাগীয় পর্যায় থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৯ জন।
অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার হাসপাতাল বাদে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগ থেকে ২ জন, খুলনা থেকে ৬ জন, বরিশাল থেকে ২৯ জন, সিলেট থেকে ২ জন, ময়মনসিংহ থেকে ৩১ জন এবং রংপুর থেকে ২৫ জন।
বুলেটিনে বলা হয়, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২৯৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২১৩ জন, ইনফেকশাশ ডিজিজ হাসপাতাল থেকে ৮ জন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৩৮ জন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ২২ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে ২৬ জন, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতাল থেকে ৪ জন।
অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৬৬৫ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯,৪৫৫। এছাড়া একই সময়ে আরও ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে মোট প্রাণ হারালেন ১৭৭ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, রমজানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৫২ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ৮,৭৯০ জন। এ ছাড়া গতকাল আরও ৫ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৭৫। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৭৭ জন।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।