নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি সময় টেলিভিশনের পাঁচজন সংবাদকর্মীর চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির ব্যাখ্যা দিয়েছে।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার সম্পৃক্ততা নিয়ে ফেসবুকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিখেছে, ‘সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের প্রতি এই শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাশীল। তবে জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার বিপ্লবে সময় টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিতে সিটি গ্রুপও বিব্রতবোধ করেছে। শিল্পগোষ্ঠীর অংশীপ্রতিষ্ঠানকেও সমালোচনার ভাগীদার হতে হয়েছে। তাই ৫ আগস্টের পর সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে তার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালন দায়িত্ব নিতে উদ্যোগী হয়। বিষয়টি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
পরবর্তী সময় থেকে পেশাজীবীরাই সময় টিভি পরিচালনা করে আসছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষে গত ১৮ ডিসেম্বর হাসনাত আবদুল্লাহ, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তিনি সময় টেলিভিশনের বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানান। তিনি মৌখিকভাবে কয়েকজন সংবাদকর্মীর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ’র অবস্থানকালে সময় টেলিভিশনের শেয়ার লেনদেন বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। তালিকা মাফিক সময় টেলিভিশনের কর্মী চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়ার বিষয়টিও অপ্রাসঙ্গিক। সময় টেলিভিশনের সহকর্মীসহ সকলের স্মরণে থাকার কথা, পরিচালনা বোর্ডের দায়িত্বে পরিবর্তন আসার পর, সময় টেলিভিশনের পরিচালনা বোর্ডের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, দেশ ও সময় টিভির স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, এমন কোনো কাজের সঙ্গে জড়িতদের স্বাগত জানান হবে না। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকজন সহকর্মী সময় টিভি থেকে অব্যাহতি নেন বা দেয়া হয়। যেখানে কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সংযুক্তি ছিলো না। সর্বশেষ সিদ্ধান্তের সঙ্গেও এমন কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজতে চাওয়া অমূলক।
সময় টেলিভিশন নিজস্ব নীতিমালা ও পরিকল্পনা মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সুনাম রক্ষা এবং কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সময় টেলিভিশন পরিচালনা বোর্ড অঙ্গীকারাবদ্ধ।’