সেলিনা আক্তারঃ
আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে কর অবকাশ সুবিধায় বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে কিছু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানো হতে পারে। এছাড়া ভ্যাট হারের পরিবর্তনও আসতে পারে। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৈঠকে আগামী বাজেটের আকারসহ কোথায় কর কমানো হতে পারে, কোথায় বাড়ানো হতে পারে এমন প্রাথমিক প্রস্তাবগুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়।
এছাড়া আগামী বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ নিয়েও আলোচনা হয়। এনবিআর সূত্র জানায়, আমনাদি পর্যায়ে যেসব পণ্যে শূন্য শুল্ক সুবিধা রয়েছে সেখানে অন্তত ১ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য শস্য, সার, মূলধনী যন্ত্রপাতি এই ধরনের শূন্য শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ধরনের শুল্ক আরোপের বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ এনবিআরের আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ২৭টি খাতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা বর্তমানে কর অবকাশ সুবিধা পায়। এই কর অবকাশ সুবিধা আগামী ৩০ জুন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আইএমএফের শর্ত হলো, এসব খাতের কর অবকাশের মেয়াদ আর না বাড়ানো। এনবিআর অন্তত ১২টি খাতে কর অবকাশ সুবিধা তুলে দিতে পারে। সভায় আইএমএফের শর্ত অনুসারে অভিন্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাট হারের প্রস্তাব করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে ভোগ্য পণ্য ও শিল্প খাতের অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যে সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ হারে একটি কর স্তর রাখা হতে পারে। অর্থাৎ বর্তমানে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশের পর আরেকটি ধাপ যুক্ত হতে পারে। আগামী অর্থবছরের এনবিআরকে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার শুল্ক কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে।