কলেজের ক্যানটিনে মাত্র ১০ টাকায় দুপুরের খাবার পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

মাত্র ১০ টাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দইখাওয়া আদর্শ কলেজ। সেখানে ‘টেন টাকা ফুড’ নামে একটি ক্যানটিনে মধ্যাহ্নভোজে শিক্ষার্থীদের ১০ টাকায় ভাত, ডাল, দুই রকম তরকারি এবং একটি ডিম সরবরাহ করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দইখাওয়া আদর্শ কলেজের ৭০-৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। সকালে কলেজে আসার সময় অনেকেই বাড়ি থেকে খাবার আনতে পারেন না। তাই কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালে টেন টাকা ফুড নামে এই ক্যানটিন চালু করেন। সেখানে ১০ টাকায় দুপুরে ডাল-ভাত বা খিচুড়ি খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকেরাও ওই ক্যানটিনে দুপুরের খাবার খান। কলেজ অধ্যক্ষের নিজস্ব তহবিল আর বাইরের দু-একজন বন্ধুর সহযোগিতায় চলে ক্যানটিনটি। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এখানে।শিক্ষার্থীরা দুপুরের ১০ টাকায় খাবার পেয়ে অনেক খুশি এবং তারা পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হয়েছে। ১০ টাকার ক্যান্টিন হওয়াতে অধ্যক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

কলেজ শিক্ষার্থী মৃন্ময় সজল বলেন, আমাদের কলেজ একটি মানসম্মত ক্যান্টিন রয়েছে। এর ফলে বাইরের কোন খাবার খেতে হয় না। এজন্য আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।কলেজ শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রতিদিন সকাল দশটায় কলেজ গেটে প্রবেশের সময় ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করেন তারা। দুপুর একটায় ওই টিকিটের মাধ্যমে তারা ক্যান্টিনে খাবার খান।

রান্নার দায়িত্বে থাকা মনোয়ারা বেগম বলেন, বাচ্চাদের রান্না করে খাওয়াই আমার অনেক ভালো লাগে। পাঁচ বছর থেকে রান্না করি। প্রতিদিন ২০০ থেকে আড়াইশো বাচ্চাকে রান্না করে খাওয়াই।

দইখাওয়া আদর্শ কলেজ অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘কলেজটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অনেক দুর থেকে শিক্ষার্থীরা সকালে না খেয়ে সাইকেলিং করে কলেজে আসে এবং সারাদিন কলেজে থেকে অনেকেই অসুস্থ ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই দিকটা চিন্তা করে আমি ২০১৮ সালে এই ১০ টাকার ক্যান্টিনটি চালু করেছি। তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় ১০ টাকায় তাদের একবেলা খাওয়াতে গিয়ে খুব-কষ্টকর হয়ে পড়েছে। যদি বৃত্তবানরা এগিয়ে আসতো তাহলে খাবারে শিক্ষার্থীদের আমিষসহ পুষ্টির যোগান দেওয়া যেত।’