ডেস্ক রিপোর্ট:
পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী এটা সবারই জানা। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এজন্য নিয়মিত পেঁপে খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটা দূর হবে।
কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। আর পাকা পেঁপে ফল হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। অনেকেরই প্রশ্ন পাকা না কাঁচা পেঁপে, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী? এ নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।
ঈশানীর কথায়,কাঁচা পেঁপে রান্না করে কিংবা সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। তবে যেভাবেই খান না কেন, এর গুণ অনেক। কাঁচা পেঁপেতে প্যাপাইন নামক একটি উৎসেচক রয়েছে যা মাংসের মতো জটিল প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। এ কারণে মাংস খাওয়ার দিন আগেভাগে কাঁচা পেঁপের পদ খেয়ে নিন। এতে পেটের সমস্যা কমবে।
শুধু তাই নয়, নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে গ্যাস, বদহজমের প্রকোপ কমবে। আইবিএস-এর সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পুষ্টিবিদ ঈশানী জানান, পাকা পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া পাকা পেঁপেতে রয়েছে পর্সেটিন নামক একটি পলিফেনল রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে উপকারী। এমনকী এতে মজুত থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়াতে পারে। ফলে নিয়মিত পাকা পেঁপে খেলে হৃদরোগজনিত জটিলতা কমবে।
পাকা না কাঁচা, কোন ধরনের পেঁপে বেশি উপকারী?
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়, এই দুইয়ের গুণ ভিন্ন। পাকা ও কাঁচা পেঁপের পুষ্টিগুণ আলাদা করা যাবে না। বরং সুস্থ থাকতে এই দুই ধরনের পেঁপেকেই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। তাহলেই একাধিক রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
অনেক ডায়াবেটিস রোগী পাকা পেঁপে খেতে ভয় পান। তরা ভাবেন, পেঁপে খেলেই সুগার বেড়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। কারণ পাকা পেঁপেতে খুব একটা বেশি ফ্রুকটোজ থাকে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসে পাকা পেঁপে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এতেই তাদের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে। তবে এক্ষেত্রে দিনে ১০০ গ্রামের বেশি পাকা পেঁপে খাওয়া ঠিক হবে না।
মনে রাখবেন, সকালের নাশতা, দুপুরের পরপরই ফল খেলে শরীরে সুগার বাড়ে। এমনকী এই সময়ে ফল খেলে পুষ্টিগুণও মিলবে না। তাই ভরপেট খাবার খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বাদে ফল খান। তাহলেই উপকার পাবেন।