কাউন্সিলরসহ দুজনকে হত্যায় আসামি আলমের জামিন চেম্বারে স্থগিত

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগকর্মী হরিপদ সাহাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আলমের জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আর আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, গত ১৯ অক্টোবর মো. আলমকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে মো. আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন চেম্বার আদালত।

২০২১ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান। ঘটনার পরদিন ২৩ নভেম্বর রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নগরীর সুজানগর এলাকার শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে জেল সোহেল, সুজানগরের রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশের কাকন মিয়ার ছেলে সাজন, তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের চেলে রকি, সুজানগরের জানু মিয়ার ছেলে আলম, একই এলাকার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের সামছুর হকের ছেলে সায়মন ও সুজানগরের কানাই মিয়ার ছেলে রনি। তাদের মধ্যে সুমনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার পেটে দুইটি গুলি লেগেছিল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা মাদক ব্যবসা করেন। কাউন্সিলর সোহেল বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি সোমবার পাথুরিয়াপাড়ায় তার অফিস সংলগ্ন থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ রড সিমেন্ট দোকানে বসে ছিলেন। এই সময় আসামিরা কালো পোশাক পরে প্রবেশের পর এলোপাতাড়ি গুলি করে। কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি করেছে ঘাতকরা। হামলাকারীদের পিস্তলের ২টি গুলি সোহেলের মাথায়, ২টি বুকে, অন্য ৫টি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।