কামরাঙ্গীরচর সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৩

ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (ছবি: সংগৃহীত)

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আজ শনিবার (১০ জুন) সকালে স্থানীয় নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌপুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নৌপুলিশের পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বিষয়টি নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ শনিবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীর কাদা লাগানো ছিল। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মাহিম গতকাল শুক্রবার সকালে বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়ে যায় উল্লেখ করে নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, ‘বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।’

সোহাগ আরও জানান, ‘চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির কুলখানিতে যাওয়ার জন্য তার সে তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে সে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগনের এক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। তার কাছে জানতে চাইলে সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। আজ ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে মরদেহ ভেসে থাকার খবর পাই। পরে গিয়ে আমার ভাগনে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিনি।’

জানা গেছে, নিহত সামির তার মায়ের এক মাত্র সন্তান। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স যায়। এরপর থেকে কামরাঙ্গীচর বাগানবাড়ি এলাকায় সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতো। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।