কারা চিকিৎসক নিয়োগ: এক মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সারাদেশের আটটি বিভাগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও নারী কারাগারে ১৪১ শূন্যপদের বিপরীতে ১৩৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাকি তিনটি পদে আগামী এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে এসময়ের মধ্যে কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘ডাক্তার নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্ত করতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলীর চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিউজ পোস্ট বিডিকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন।

তিনি বলেন, কারা অধিদপ্তর আরও তিন মাস সময় চেয়েছিল। কিন্তু আদালত এক মাস সময় দিয়েছেন। এর আগে গত ৬ জুন কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘ডাক্তার নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্ত করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কারা কর্তৃপক্ষকে শূন্যপদে কারা চিকিৎসক নিয়োগের অগ্রগতিও জানাতে বলা হয়েছিল।

ওইদিন জানানো হয়, ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। তখন আদালত এক মাসের মধ্যে বাকি চিকিৎসক নিয়োগ দিতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানিতে ওঠে। এরও আগে গত ১৩ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮ কারাগার এবং কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এরপর আদালত শূন্য পদগুলোতে অবিলম্বে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে মামলার শুনানি চলছে।

২০১৯ সালে রিটটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। তখন আদালত কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে রুল জারি করেছিলেন। সেই সঙ্গে কারাগারের চিকিৎসাব্যবস্থা, চিকিৎসক নিয়োগসহ কারাগারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দিয়ে কারাগারে ২৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা জানায়। পরে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।