কারা হেফাজতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫৮) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলীমুজ্জামানের গোপালগঞ্জ সদরের ঘোনাপাড়া এলাকার চৌধুরী বাকা মিয়ার ছেলে।
আলিমুজ্জামানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষী নাজমুল হাসান জানান, আজ রাতের দিকে হাজতি আলিমুজ্জামান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েকজন কারারক্ষী তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাজতি আলিমুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়ি বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদলের ক্রীড়া সম্পাদক খায়রুল ইসলাম দিদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে আলিমুজ্জামনকে আটক করে পুলিশ। ওইদিনই দিদার হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় কোর্টে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। হত্যার ৫ দিন পর নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে ১১৭ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যেখানে আলিমুজ্জামানের নাম উল্লেখ ছিল। পরে ওই মামলায় আলিমুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রোববার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে আলিমুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় ফরিদপুর। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিমুজ্জামানের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। পরে সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আলিমুজ্জামানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আলিমুজ্জামান চৌধুরীর স্বজন সোহেল অভিযোগ করেন, রিমান্ড শেষে জেলে আনার পর থেকেই খুব অসুস্থ ছিল আলিমুজ্জামান। তিনি একজন স্থানীয় ডাক্তার ছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে এখন মেরে ফেলল।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। ময়নাতদন্তের পর কারা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।