কালীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৭
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কোলা ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সম্পাদকসহ সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় বিএনপি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার মোল্ল্যা ও সিদ্দিক নামে দু’জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যেই ৪-৫টি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে আহত অন্যান্যরা হলেন- কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার মোল্ল্যা (৫৫), সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী (৬০), সমর্থক আব্দুল জলিল (৪৫), সাজ্জাদুর রহমান (৩৫) ও নজরুল ইসলামসহ (৫০) আরও কয়েকজন।
এলাকাবাসীরা জানায়, এলাকার আধিপত্য নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কোলা বাজার এলাকার নেতা আব্দুল জলিল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলীর সমর্থকদের মধ্যে জটলা বাধে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা পাল্টা হামলায় জড়িয়ে ৬ জন জখম হয়। এ সময় ৪-৫টি বোমার বিস্ফোরণ ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সমর্থকরা কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার মোল্ল্যা কুপিয়ে জখম করে। তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়ানো উভয়েই বিএনপির একাংশের নেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে। বর্তমানে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাজারে কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে এমন কথা শুনে তিনি বাজারে যান। এ সময় কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে। আমার সঙ্গে থাকা সহযোগীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, মারামারি করা দুই গ্রুপই বিএনপির একপক্ষের সমর্থক বলে শুনেছেন। এখনো কোনো পক্ষই মামলা বা অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।