লাইফস্টাইল ডেস্ক:
খাবারে সুগন্ধ ও স্বাদ যোগ করতে ব্যবহার করা হয় কালোজিরা। এটি বিভিন্ন তরকারি, ভাজা, সমুচা, পাপড়, সিঙ্গারা, নিমকি, বিস্কুট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আবার কালোজিরার ভর্তা গরম ভাতে খেতে দারুণ লাগে। কালোজিরায় থাকে ভিটামিন, ক্রিস্টালাইন নাইজেলোন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, উদ্বায়ী তেল, অ্যালকালয়েড, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম।
নিয়মিত কালোজিরা খেলে তা হার্ট ভালো রাখে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধান করে, জয়েন্টগুলোকে লুব্রিকেট করে। এই মসলার অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্ষুদ্র এই বীজের উপকারিতা অনেক। কালোজিরার পাশাপাশি এর তৈরি তেলও বিশেষ উপকারী। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক কালোজিরার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
এটি সম্ভবত কালোজিরার সবচেয়ে পরিচিত সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি। আপনার যদি ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে কালোজিরার তেল তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ ব্ল্যাক টি- এর সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খান এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখুন।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং হাঁপানি দূর করে
কালোজিরার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েরই শ্বাসকষ্ট উপশম করতে সহায়তা করে। তবে আপনাকে এটি কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্য করতে হবে। এবং এই সময়ে ঠান্ডা পানীয় এবং খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সাধারণ শহুরে সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো মাথা ব্যথা। মাথা ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে কপালে খানিকটা কালোজিরার তেল ঘষুন, আরাম করুন এবং আপনার মাথা ব্যথা দূর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া প্রতিকারই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।
জয়েন্টের ব্যথা কমায়
এটি একটি টোটকা। এক মুঠো কালোজিরা নিয়ে সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে গরম করুন। তেলে ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে আঁচ থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করুন। এবার এই তেল যেসব জয়েন্টে পেইন হচ্ছে সেখানে ব্যবহার করুন। হালকা হাতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
যাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা রয়েছে তারা এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন। সেইসঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন সব খাবারও খেতে হবে নিয়মিত।
কিডনি রক্ষা করে
কিডনিতে পাথর একটি পরিচিত সমস্যা। আধা চা চামচ কালোজিরা তেলের সঙ্গে দুই চা চামচ মধু ও গরম পানি খেলে কিডনির ব্যথা, পাথর এবং সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের জন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দাঁত মজবুত করে
দাঁতের সমস্যা যেমন মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া এবং দুর্বল দাঁতের যতœ নিতে কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট দেখানো বেশি ভালো। তবে এর পাশাপাশি মাড়িকে শক্তিশালী করতে দিনে দুইবার কালোজিরা তেল দিয়ে দাঁত ম্যাসাজ করতে পারেন।