কাশ্মীরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৩ বাংলাদেশি পর্যটকের পরিচয় মিলেছে। তারা ৩ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ২ জন প্রকৌশলী ও ১ জন ঠিকাদার।
ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, যে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নাম অনিন্দ্য কৌশল, ইমন দাশগুপ্ত ও মাইনুদ্দিন চৌধুরী।
জানা যায়, নিহতদের মধ্যে অনিন্দ্য কৌশল রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, ইমন দাশগুপ্ত গণপূর্ত চট্টগ্রাম-২ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আর মো. মাইনুদ্দিন ঠিকাদার হিসেবে কর্মরত। অনিন্দ্য কৌশলের বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে, ইমন দাশগুপ্তের রাউজানের বিনাজুড়িতে আর মাইনুদ্দিনের বাড়ি রাউজানের কদলপুরে। তাদের মধ্যে অনিন্দ্য চুয়েটের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের এবং ইমন কুয়েটের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ডাল লেকে গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে প্রথমে একটি হাউজবোটে আগুন লাগে। দ্রুতই তা পাশে নোঙর করে রাখা আরও ৪টি বোটে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া ৫টি বোটের মধ্যে একটিতে তিন বাংলাদেশি পর্যটক ছিলেন। তারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে ত্রæটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে সাফিনা নামের একটি হাউমবোটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
নিহত অনিন্দ্য কৌশলের বাবা স্বপন কুমার নাথ নিউজ পোস্টকে বলেন, অনিন্দ্য ৩ নভেম্বর তীর্থের উদ্দেশ্যে ভারতে যান। দু-এক দিনের মধ্যেই তার ফেরার কথা ছিল। এখন আমরা ভারতে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
অনিন্দ্যের বন্ধু আলমগীর জানিয়েছেন, অনিন্দ্য তার ছোটবেলার বন্ধু। খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। শনিবার তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।
গণপূর্ত রাঙ্গামাটি সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন নিউজ পোস্টকে বলেন, অনিন্দ্য কৌশল রাঙ্গামাটি ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে কাশ্মীরে এক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান। রাতেই আমি খবরটি পাই। এখন তার মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।