কিছুটা উন্নতি কুমিল্লা বোর্ডের, বেড়েছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি,কুমিল্লাঃ 

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবারের ফলাফলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতবার পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ৬২৩ জন।এর আগে, রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।

বেলা ১১টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার এক হাজার ৭৮০টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৭৩০ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৪ হাজার ৫৯৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮১ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫৮ হাজার ৭৮২ জন এবং ছাত্রী ৮৩ হাজার ২৯৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৭ হাজার ২৪৪ জন। এবার পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ জন।

এর আগে, সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে- 
পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।