কিছু পদের লোভে বর্তমান প্রজন্ম দক্ষতাবিহীন শিক্ষায় ঝুঁকে পড়েছে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী বলেছেন, অল্প কিছু করণিকের চাকরির জন্য আমরা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জিম্মি করতে পারি না। যেটা আমরা ইতোমধ্যে করেছি। কিছু করণিকের চাকরি ও কিছু শিক্ষকতার পদের লোভে বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে দক্ষতাবিহীন উচ্চশিক্ষার দিকে ঝুঁকেছে, এটাকে উচ্চশিক্ষা না বলে আমরা গণশিক্ষা বলতে পারি। অনেক সমালোচকরা উচ্চশিক্ষা বর্তমানে গণশিক্ষায় রূপান্তরিত হয়েছে বলছেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। যেকোনো বয়সের যে কেউ যেন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখছি। কারিগরি পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্তাব্যক্তিদের এই চর্চা করতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় যেকোনো বয়সের মানুষ যেন এন্ট্রি (প্রবেশ) করতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।তিনি বলেন, গুগল ও ফেসবুক থেকে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের সনদ নয়, আপনার কী দক্ষতা আছে সেটি আগে জানতে চায়। তাই আমাদের সনদনির্ভর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দক্ষতানির্ভর পড়াশোনায় মনোযোগী ও আগ্রহ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতাবিহীন উচ্চশিক্ষায় যেহেতু লাখ লাখ শিক্ষার্থী চলে গেছে, এখন তাদের কীভাবে দক্ষতার জায়গায় নিয়ে আসতে পারি, সেজন্য কাজ করতে হবে। এমএ ও বিএ পাস করেও কিন্তু আমরা দক্ষতাভিত্তিক পেশায় ফিরে আসতে পারি এবং সেটা নেওয়ার মানসিকতা যেন আমাদের থাকে।
শিক্ষার্থীদের সনদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় গুরুত্ব তুলে ধরে মহিবুর হাসান চৌধুরী বলেন, আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি, সেটি হয়ত কিছু চাকরিতে চাইবে। কিন্তু কিছু চাকরি দিয়ে আমার দেশের পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। এখন দক্ষতার যুগ। কারও চাকরি কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। রাষ্ট্র, সরকার আর কর্মদাতারা এখন দক্ষতার দিকে জোর দিচ্ছে। তাই পেশাজীবী সব প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাই তার শিক্ষা দর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। নারী হোক বা পুরুষ, কাজের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই।এ সময় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন এবং এটা তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে বলেন। তাই সবাইকে দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে।অনুষ্ঠানের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি অধিদপ্তর, বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।