মোঃ সাইফুল ইসলাম:
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ছে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে ব্যবহৃত হয় এ রকম নানা পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি কর আসছে। মানুষের জীবনধারণ যখন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, তখন স্বস্তি দেওয়ার জন্য সাধারণত করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি
আগামী অর্থবছরের বাজেটে করছাড় খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রাজস্ব আদায়ের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে কিছু খাতে বিদ্যমান কর অব্যাহতি তুলে নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে দেশের অর্থনীতি। মানদণ্ড নির্ধারক প্রায় সব সূচকই এতে নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। সরকারের হাতে অর্থ কম। প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় আসছে না। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ঋণ করতে হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতির পারদ আরও ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এতে একদিকে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে ব্যয়ের তুলনায় মজুরি মূল্য না বাড়ায় বড় ধরনের অস্বস্তিতে পড়েছে সার্বিক জনজীবন।
সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবারও কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য আগের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি আয়কর দিতে হবে। আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ, এবার তা হচ্ছে ১৫ শতাংশ। এ প্রক্রিয়ায় টাকা বৈধ করলে সরকারের কোনো সংস্থা কোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারবে না।
দেশের প্রচলিত আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতার স্থাবর সম্পত্তি যেমন—ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।
ভারতে চারশর বেশি আসন পাওয়ার স্লোগান দেওয়া বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট এবার লোকসভা নির্বাচনে তিনশর লক্ষ্যই ছুঁতে পারেনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে ২৯৬ আসনে আটকে গেছে দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা এনডিএ জোট।
নির্বাচনে এনডিএর এমন বিপর্যয়ের নানা কারণ থাকলেও বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর যুক্তিনির্ভর প্রচারণার কারণে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বিজেপির। তবে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় মোদি নিজেকে বিজয়ী দাবি করে বলেন, এটা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের বিজয়। মানুষ টানা তৃতীয়বারের মতো এনডিএর ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে। এটা ঐতিহাসিক ঘটনা।
বেঁধে দেয়া সময়সীমা (৩১শে মে) মিস করার পর ১৭ হাজার স্বপ্নভঙ্গ কর্মীর মালেয়শিয়াতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মালয়েশিয়া। সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক সংবাদ চ্যানেল সিএনএ গতকাল জানিয়েছিল, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সরকারের কাছে আবেদন করেছে যে, তারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে পূর্বে অনুমোদিত কাজের ভিসায় সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দেশটির নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ব্যাখ্যা করেছেন যে, কোটা অনুমোদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থাসহ সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো যতœসহকারে বিবেচনা করে ওই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২৮ থেকে ৩১শে মের মধ্যে, আমরা ২০,০০০ এরও বেশি বিদেশি কর্মীর দেশে প্রবেশের রেকর্ড করেছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে তাদের ভিসা পেয়েছেন।
এছাড়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে বালিশ চাপা দেন তানভীর; চাইলে বেনজীরকে ১৫ দিন সময় দেবে দুদক; জেনারেল আজিজের তেলেসমাতি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।