ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে গত দুই দিনে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে জনসচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে।
গত শুক্র ও শনিবার উপজেলার পক্ষিয়া, কাচিয়া ও কুতুবা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
কুকুরের কামড়ে আহতরা হলো উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল করিমের ছেলে ঈসমাইল হোসেন (৯), একই এলাকার মো. কবির হোসেনের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৪), কাচিয়া ইউনিয়নের আবু তাহেরের ছেলে ওমর ফারুক (৩), একই ইউনিয়নের মহিমা (২৫), মসির (৩৫), ফাতেমা (৪০), সুফিয়া (৬০), সাহীনুর (৬), সামসুল ইসলাম (৩০), সারমিন(১৩), ইয়াসমিন, জোবায়ের, আব্দুল্লাহসহ ২০ জন। তারা সবাই বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন সিরাজী জানান, গত শুক্র ও শনিবার তাদের ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী আরো পক্ষিয়া ও কুতুবা ইউনিয়নের প্রায় বেশ কয়েকটি কুকুর এলাকার নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেক মানুষকে কামড় দিয়েছে। আহত ২০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে তারা এখন লাঠি নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।
এদিকে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা বাজারে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রাম পুলিশ দিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ফারাবী নামের এক স্বেচ্ছাসেবী জানান, কুকুর তার মা ও বোনকে কামড় দিয়েছে।
এরপর অন্যদের সচেতন করতে স্থানীয় বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে শুক্রবার একটি বেওয়ারিশ কুকুর বোরহানউদ্দিনের বোরহানগঞ্জ বাজারের কিছু মানুষকে কামড় দেয়। পরে আরো দুটি কুকুর একত্র হয়ে মোট তিনটি কুকুর পর্যায়ক্রমে পক্ষিয়া, কাঁচিয়া ও কুতুবা ইউনিয়নের মানুষকে কামড়ে দিতে শুরু করে। এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই দুটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এর পরও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কমেনি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত দুই দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ২০ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভোলা সদরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকে নিজ উদ্যোগে বরিশাল ও ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান উজ্জামান জানান, কুকুর আতঙ্কের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের দিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে বলা হয়েছে।