কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তৌহিদের হাতে জিম্মি পুরান ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তৌহিদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরান ঢাকার বাবুবাজার, নয়াবাজার, সদরঘাট ও সোয়ারীঘাট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
একসময় সদর ঘাটের কুলি ছিলেন এই তৌহিদ। পরে মাদক ব্যবসা আর চাঁদাবাজি করে কোটিপতি বনে যান।
কখনও পুলিশের সোর্স, কখনও সাংবাদিক, কখনও ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন তৌহিদুর রহমান ওরফে তৌহিদ মোল্লা নামে এ সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে তার রয়েছে বিশাল বাহিনী।
অভিযোগ রয়েছে, একেক সময়ে একেক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন তৌহিদ। আর চাঁদা আদায়ে ব্যবহার করেন তার গ্রুপের সদস্যদের। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি, ভাংচুর করা হয় দোকানপাট।
পুরান ঢাকার কয়েকটি থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৌহিদ ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য মামলা এবং সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা তৌহিদ গ্রুপের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এবং তাকে গ্রেফতারের দাবিতে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। থানায় অভিযোগও দিয়েছে।
কিন্তু এরপরও তৌহিদ ও তার গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে দিনের পর দিন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুরান ঢাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তৌহিদ মোল্লা একসময় বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে নিজেকে পুলিশের সোর্স, কখনও সাংবাদিক, ডিবি অফিসার, কখনও সরকারি দলের নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করেন।
বর্তমানে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আগে বারবার অভিযোগ করার পরও ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী এখন স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছেও মুখ খুলতে চান না। কারণ অনেকে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ কিংবা মামলা করে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
জানা যায়, তৌহিদ গ্রুপের মূল টার্গেট বাবুবাজার, বংশাল ও সদরঘাটসহ পুরান ঢাকার ফুটপাতের খুদে ব্যবসায়ীরা।
দোকনভেদে তৌহিদ বাহিনীর সদস্যরা ৪শ’ থেকে ১২শ’ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু কোতোয়ালি থানাতেই ৪টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া বংশাল, মতিঝিলসহ আশপাশের থানাগুলোয় অসংখ্য সাধারণ ডয়েরি রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি থাকলেও পুলিশ তৌহিদ ও তার গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে।
পুলিশের খাতায় সে পলাতক! অথচ তৌহিদ ও তার গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।